EDITOR
- ৯ জুলাই, ২০২০ /

বার্তা পরিবেশক:
কক্সবাজার শহরে মুঠোফোনে ‘র্যাব কর্মকর্তা’ পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠছে; এ নিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরী দায়ের করেছেন ভূক্তভোগী ব্যক্তি।
এ অভিযোগে গত বুধবার ( ৮ জুলাই ) কক্সবাজার সদর থানায় সাধারণ ডায়েরী দায়ের করেছেন ভূক্তভোগী মহেশখালী পৌরসভার মধ্যম গোরকঘাটার বাসিন্দা আতাউল্লাহ ছিদ্দিকী।
তিনি ওই এলাকার ডাঃ নুরুল আমিনের ছেলে। বর্তমানে তিনি কক্সবাজার শহরের বাজারঘাটা এলাকায় স্ব-পরিবারে বসবাস করেন।
কক্সবাজার সদর থানায় দায়ের সাধারণ ডায়েরী (জিডি) নম্বর-৩৩৯, তারিখঃ ০৮/০৭/২০২০ ইং।
জিডিটি তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এএসআই সুমন তালুকদারকে।
থানায় দায়ের জিডিতে বলা হয়েছে, গত ২১ জুন র্যাব-১৫ কক্সবাজার ক্যাম্পের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি আতাউল্লাহ ছিদ্দিকীকে ০১৮৯২-৮৮১০৬৫ নম্বরের ফোন থেকে কল করেন। ওইদিন বিকাল ৪ টা ৪৬ মিনিট এবং সন্ধ্যা ৬ টা ৫৫ মিনিটে পরপর দুইবার ফোন করে তার (আতাউল্লাহ ছিদ্দিকী) সঙ্গে কতিপয় লোকজনের জমির বিরোধ রয়েছে এবং তা আপোষ-মিমাংসা করার জন্য নির্দেশ দেন।
এসময় জমির বিরোধ থাকা লোকজনের সঙ্গে আপোষ-মিমাংসা না করলে আতাউল্লাহ ছিদ্দিকীকে তুলে নিয়ে হত্যার হুমকি দেয়া হয় বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
জিডিতে আরো উল্লেখ করা হয়, ভূক্তভোগী আতাউল্লাহ ছিদ্দিকী পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে র্যাব-১৫ কক্সবাজার ক্যাম্পে গিয়ে ঘটনার সত্যতা জানতে যোগাযোগ করেন। কিন্তু এ ফোন নম্বরটি র্যাবের কোন ব্যক্তি ব্যবহার করেন না এবং র্যাব অফিস থেকে কাউকে ফোন করা হয়নি বলে অবহিত করেন।
এদিকে ঘটনার পর থেকে আতাউল্লাহ ছিদ্দিকীর সন্তান ও পরিবারের সদস্যদের শহরের বাসার আশপাশে ঘুরাঘুরি করে অজ্ঞাত লোকজন হুমকি-ধমকি দেয়া অব্যাহত রেখেছে বলে অভিযোগ করেন ভূক্তভোগী আতাউল্লাহ।
আতাউল্লাহ বলেন, কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল জোন এলাকায় গত ২০১৮ সালে চকরিয়া উপজেলার পূর্ব বড়-ভেওলা এলাকার ছায়েরা খাতুন নামের এক নারীর কাছ থেকে কিছু পরিমান জমি ক্রয় করি। জমিটি জোরপূর্বক জবরদখলের উদ্দ্যেশে কতিপয় ভূমিদূস্য চক্রের লোকজন উঠে পড়ে লেগেছে।
” চক্রটির লোকজনের যোগসাজশে গত ২৬ ফেব্রুয়ারী সাজানো ও মিথ্যা মানবপাচার মামলায় আসামী দেখিয়ে পুলিশ দিয়ে আমাকে (আতাউল্লাহ ছিদ্দিকী) গ্রেপ্তার করানো হয়। বর্তমানেও চক্রটির লোকজন জমিটি জবরদখলের উদ্দ্যেশে আমাকে নানাভাবে হুমকি-ধমকি দেয়া অব্যাহত রেখেছে। “
তিনি অভিযোগ করেন, ” কথিত র্যাব কর্মকর্তা পরিচয় দানকারি ব্যক্তিও চক্রটির যোগসাজশে মোবাইল ফোনে আমাকে (আতাউল্লাহ ছিদ্দিকী) হুমকি দিয়েছে। মূলতঃ জমি জবরদখলের চেষ্টাকারি কক্সবাজার শহরের পেশকার পাড়ার বাসিন্দা মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ভূমিদূস্য চক্রের লোকজন এ অপকর্ম অব্যাহত রেখেছে। “
ঘটনার ব্যাপারে জানতে জিডিটির তদন্তকারি কর্মকর্তা কক্সবাজার সদর থানার এএসআই সুমন তালুকদারের সঙ্গে কথা হলে বলেন, র্যাব কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে হুমকি দেয়ার অভিযোগে আতাউল্লাহ ছিদ্দিক থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন। জিডিটি নথিভূক্ত করা হয়েছে।
ফোন দেয়া ব্যক্তির কল লিস্ট বের করে পরবর্তীতে থানায় প্রতিবেদন দেয়ার পর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান এএসআই সুমন।
ভয়েস/আআ